উপকূলীয় নদী বন্দর ও দ্বীপ উপজেলার অবহেলিত বাসিন্দাদের জীবনমান উন্নয়নের জন্য সম্মিলিতভাবে প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে সচেতন সন্দ্বীপবাসীর পক্ষ হতে বাঁশবাড়িয়া টু গুপ্তছড়া নৌ রুটে ফেরী উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আগত সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপদেষ্টাগণের নিকট জোড়ালো দাবী জানানোর জন্য এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
২ মার্চ রবিবার বিকেল তিনটায় নগরীর লাভ লেইনে অবস্থিত মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়ন'র হল রুমে উক্ত অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
ডক্টর আকবর হোসাইন এর সঞ্চালনয় উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মিজানুর রহমান ভূঁইয়া মিল্টন, জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আমির আলাউদ্দিন সিকদার, বিএনপি চট্টগ্রাম উত্তর জেলা যুগ্ম আহবায়ক ইন্জিনিয়ার বেলায়েত হোসেন, বিএনপি সন্দ্বীপ উপজেলার সভাপতি এডভোকেট আবু তাহের, জামাতে ইসলামী বাংলাদেশের সন্দ্বীপ উপজেলা আমির সারিকাইত ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মাওলানা ফিরোজ, সেক্রেটারি মুছাপুর ইউনিয়ন'র সাবেক চেয়ারম্যান মাওলানা আবু তাহের, বিএনপি নেতা এডভোকেট সেকান্দর বাদশা, সাংবাদিক মাহবুবুল মাওলা রিপন, সাংবাদিক সালেহ নোমান, সামাজিক সংগঠক কবির সোহেল, কালাপানিয়া ইউপি'র সাবেক চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম চৌধুরী বায়রন, বিএনপি নেতা জাহাঙ্গীর আলম, লায়ন নাসির উদ্দীন, আজমত আলী বাহাদুর, জামসিদুর রহমান, মোশাররফ হোসেন, জামায়াত নেতা জহিরুল ইসলাম জন্টু মানবাধিকার কর্মী মিলাদ হোসেন প্রমুখ।
মতবিনিময় সভায় বক্তরা অবহেলিত সন্দ্বীপের যাতায়াত,চিকিৎসা ও শিক্ষা ক্ষেত্রের দীর্ঘদিনের পঞ্জিভুত সমস্যা আশু সমাধানের জন্য মাননীয় উপদেষ্টা মহোদয়গণের নিকট লিখিতভাবে উপস্থাপনের জন্য নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন।
সিএস সিট অনুযায়ী এবং ১৯৪৫ সালে ৭২ মৌজা হতে ১২ মৌজা নোয়াখালী জেলার এবং ৬০ মৌজা সন্দ্বীপ উপজেলার অধিভুক্ত হওয়ার পর ভেঙে যাওয়ার পর নতুনভাবে জেগে উঠা অংশ রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে নোয়াখালী জেলার অধিভুক্ত করায় বক্তারা ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
সন্দ্বীপ উপজেলা উপকূল নৌ বন্দর ঘোষণা করায়, ফেরী সার্ভিসের ব্যবস্থা করায় ও নৌ ঘাট উম্মুক্ত করে দেয়ায় মাননীয় উপদেষ্টা ডক্টর ফাওজুল কবির খানের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা হয়।
ফেরী উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আগত উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যদের নিকট সন্দ্বীপবাসীর চিহ্নিত মৌলিক সমস্যার আশু সমাধানের জন্য জোড় প্রস্তাব উপস্থাপনের জন্য নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
লেখা : এমদাদুল ইসলাম রুবেল ; ছবি- মোবারক হোসেন ভূঁইয়া
।