বিএনপি’র সাবেক যুগ্ম-মহাসচিব আসলাম চৌধুরী এফসিএ বলেছেন, বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে শিক্ষকদের সম্মানী বা ভাতা চলনসই না হলেও এই পেশায় যে শ্রদ্ধা আর ভক্তি মিলে তা অন্য কোনো পেশায় বিরল। শিক্ষকদের হয়তো অর্থনৈতিক দৈন্যতা থাকে কিন্তু সমাজে তাদের যে সম্মান, মর্যাদা আর সামাজিক অবস্থান তা ধন-সম্পদের কোনো স্কেলে মাপা যাবে না।
রবিবার (১৯ অক্টোবর) সীতাকুন্ড উপজেলার সোনাইছড়ি ইউনিয়নের শীতলপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ ও সহকারী শিক্ষিকা রঞ্জনা শ্রী ভৌমিকের বিদায় সংবর্ধনা ও দাতা সদস্যের সম্মাননা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
আসলাম চৌধুরী বলেন, এই অঞ্চলের শিক্ষা বিস্তারে বিদায়ী দুই শিক্ষকের অবদান অবিস্মরণীয় হয়ে থাকবেন। তারা স্কুল থেকে বিদায় নিলেও সাবেক এবং বর্তমান শিক্ষার্থীদের হৃদয়ের মনিকোঠায় চিরস্থায়ী জায়গা করে নিয়েছেন। স্কুলের সার্বিক উন্নয়নেও দুই শিক্ষক তাদের শ্রম মেধা ব্যয় করেছেন।
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে আসলাম চৌধুরী বলেন, শিক্ষকের অবস্থান সবার উপরে। যারা জ্ঞানের আলো ছড়িয়ে শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যতের ভিত গড়ে দেয়, তাদের প্রতি অসম্মান কখনওই করা যাবেনা। শিক্ষকদের আদেশ উপদেশ অনুসরণ করা গেলে জীবনে সফলতা আসবেই বলে তিনি দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রী পরিষদ সভাপতি মোঃ বেলাল হুসাইন এর সভাপতিত্বে এবং প্রাক্তন সহ-সভাপতি সুমন দাস ও সাংগঠনিক সম্পাদক সালাউদ্দিন চৌধুরী’র পরিচালনায় অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন স্কুল পরিচালনা পরিষদের সভাপতি হাসান আল মামুন, প্রধান আলোচক ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের প্রফেসর ড.সুকান্ত ভট্টাচার্য।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপি আহবায়ক ডাক্তার কমল কদর, সদস্য সচিব কাজী মো. মহিউদ্দিন, স্কুলের দাতা সদস্য আলহাজ নুরুদ্দিন রুবেল সিআইপি, স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান নুরুদ্দিন মো. জাহাঙ্গীর চৌধুরী, আজীবন দাতা সদস্য জহুরুল আলম, ছাত্র-ছাত্রী পরিষদের উপদেষ্টা গিয়াসুল মাহমুদ চৌধুরী, তাজুল ইসলাম।
অনুষ্ঠান বিদায়ী দুই শিক্ষককে সম্মাননা ক্রেস্ট ও পুরষ্কার প্রদান করেন অতিথিবৃন্দ। এছাড়া অনুষ্ঠানে বিদ্যালয়ের আজীবন দাতাসদস্য ও প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রী পরিষদের উপদেষ্টা মন্ডলীদেরও সম্মাননা স্মারক তুলে দিয়ে সম্মাানিত করা হয়।