চট্টগ্রাম কর্নেলহাট সিডিএ আবাসিক এলাকা জামে মসজিদ নিয়ে বিভিন্ন অপপ্রচার সম্পর্কে মসজিদ কমিটি এবং এলাকার সমাজ কল্যান সংস্থার অবস্থান তুলে ধরে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে।
উক্ত সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত সকল সাংবাদিক ও এলাকাবাসীকে মসজিদ কমিটি এবং এলাকার সমাজ কল্যান সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো্ হয় যে, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কতৃপক্ষ অত্র এলাকার জনগণের দাবীর প্রেক্ষিতে বিগত ৩০/০৪/২০০৯ তারিখে তৎকালীন সিডিএ সচিব স্বাক্ষরিত পত্রের মাধ্যমে ৪ কাঠার (কম/বেশী হতে পারে) একটি জমি মসজিদ নির্মাণের জন্য বরাদ্দ দেয়।
সেই বরাদ্দকৃত জমিতে কর্নেলহাট সিডিএ এলাকার অধীবাসীদের নিজস্ব অনুদানে বর্তমান মসজিদটি ৩ তালা পর্যন্ত নির্মিত হয়েছে যা পর্যায়ক্রমে ৫ তলা পর্যন্ত নির্মিত হওয়ার অনুমোদন আছে। সুতরাং মসজিদের মালিক সিডিএ এবং তত্বাবধানে আছে এলাকার সমাজ কল্যাণ সংস্থার অধীন নির্বাচিত কমিটি ।
সরকার কোন জমি বরাদ্দ দিলে জমির মালিকানা নিশ্চিত হয়েই দেয়। সিডিএ কোন প্রকল্প বাস্তবায়নে জমি অধীগ্রহন করলে জমির মালিকদের তাদের পাওনা আগেই বুঝিয়ে দেয়। এক্ষেত্রে ও ব্যতিক্রম হয়নি। এর দালিলিক প্রমাণও আমাদের আছে। তবুও একটা মহল অনভিপ্রেত কথা রটনা করছে।
অন্যদিকে বিরোধপূর্ণ জায়গা বলে স্থানীয় লোকজন যে দাবী করছে তা মসজিদের নয়, কবরস্থানের। এ বিষয়ে সিডিএ কতৃপক্ষের বক্তব্য (যেটুকু আমরা জানি) এটা জরিপ ভুল হওয়াতে বিএস জরিপ ভুল সংশোধনের জন্য সিডিএ কতৃপক্ষের মামলা আদালতে চলমান।আদালতে বিচারাধীন কোন বিষয়ে আমরা কথা বলতে চাই না।আদালতের সিদ্ধান্ত আমরা মেনে নেব।
আমরা আরো উল্লেখ করতে চাই স্থানীয় কোন লোকজনের সাথে আমাদের বিরোধ নেই বরং সামাজিকভাবে একে অপরের প্রতি আমরা শ্রদ্ধাশীল থাকতে চাই।তবে সেদিন ২৯ আগষ্ট জুমার নামাজের পর মসজীদে যে হাংগামা সৃষ্টি করেছিল কিছু বহিরাগত লোক, তখন এলাকাবাসীর প্রতিরোধের সাথে আকবর শাহ থানার ওসি সাহেব উনার ফোর্স নিয়ে পরিস্থিতি সামাল না দিলে অনেক খারাপ অবস্থার সৃষ্টি হতে পারত।আমরা এজন্য আপনাদের মাধ্যমে পুলিশ প্রশাসনকে সাধুবাদ জানাই।
পরিশেষে আমরা বলতে চাই আমরা কর্নেলহাট সিডিএ আবাসিক এলাকার শান্তিপ্রিয় অধীবাসি। আমরা সরকারি বেসরকারি সকল পক্ষের সহযোগিতা চাই যাতে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় থাকে এবং ভবিষ্যতে মসজিদ ও কবরস্থানে এলাকাবাসী কোন অনাকাংখিত পরিস্থিতির সম্মুখীন না হয়।
আবার স্কুলের কোন অভিভাবক তার একান্ত ব্যক্তিগত বিষয়কে মসজিদে টেনে না আনেন এটাও আমরা চাই।স্কুলে আলাদা প্রশাসন এবং নিয়ন্ত্রণকারী কতৃপক্ষ আছে। উদ্ভূত কোন বিষয়ে তারাই সমাধান দেবেন।
উপস্থিত সংবাদকর্মীদের উপস্থিত হওয়ার জন্য ধন্যবাদ, পরিস্থিতি ব্রিফ এবং উনাদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন মসজিদের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক চৌধুরী রাশেদ।
অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, সহ সভাপতি আব্দুল কাদের ও নিজামুল হক, অর্থ সম্পাদক রহমান খান, সহ সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মুখলেছুর রহমান, উপদেষ্টা প্রফেসর ফসিউল আলম শীবলি, সাবেক ব্যাংকার একরাম উল্লাহ, সাউথইস্ট ব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট আলাউদ্দিন মাহমুদ আলভী, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মুখলেসুর রহমান, সংগঠক আযাদ খান এবং এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।