রহিম মোহাম্মদ :: ২৮ এপ্রিল ২০২৫ :: সোনালী সন্দ্বীপ ::
৫ আগস্টের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে সন্দ্বীপ ছিল শান্ত। এর আগে এখানে সরকারবিরোধী কোনো আন্দোলন বা রাজনৈতিক অস্থিরতা দেখা যায়নি।
তবে ৫ আগস্টের পর কয়েক মাসের ব্যবধানে বিএনপির বিভক্তির সুযোগ নিয়ে কিছু অপরাধী চক্র সক্রিয় হয়ে পড়ে। শুরু হয় অবৈধ মাটি কাটা, মাদক ব্যবসা, ছিচকে চুরি এবং প্রভাব বিস্তারের মাধ্যমে মামলা ও চাপ প্রয়োগের ঘটনা। এতে বিব্রত হয়েছেন বিএনপি নেতৃবৃন্দ, একইসঙ্গে উদ্বিগ্ন হয়েছে পুলিশ প্রশাসনও।
পরিস্থিতি সামাল দিতে নতুন ওসি এ. কে. এম সফিকুল ইসলাম চৌধুরী সম্প্রতি জেলা পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম সানতুর সহযোগিতায় সন্দ্বীপ থানায় এক মতবিনিময় সভার আয়োজন করেন।
আওয়ামী লীগ ব্যতীত সব রাজনৈতিক দল ও সুশীল সমাজের নেতারা এতে অংশ নেন। সভায় পুলিশ সুপার সন্দ্বীপকে ‘রেড জোন’ ঘোষণার তথ্য তুলেপরিস্থিতি উন্নয়নে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন। একইসঙ্গে তিনি অপরাধ দমনে দলমতের ঊর্ধ্বে উঠে কাজ করার নির্দেশনা দেন। এর পর থানার ওসির নেতৃত্বে দ্বীপজুড়ে রাতভর পুলিশ টহল জোরদার করা হয়। এতে অপরাধীদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয় এবং আইনশৃঙ্খলার দৃশ্যমান উন্নতি ঘটে।
সন্দ্বীপ থানার এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন উপজেলা বিএনপি আহ্বায়ক আবু তাহের, সদস্য সচিব আলমগীর ঠাকুর এবং জামায়াত নেতা মাওলানা আবু তাহের।
উপজেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির গত সপ্তাহে অনুষ্ঠিত সভায়ও পরিস্থিতি উন্নয়নে সন্তোষ প্রকাশ করা হয়। তবে সন্দ্বীপের বিএনপির শীর্ষ নেতা ও চট্টগ্রাম উত্তর জেলার যুগ্ম আহ্বায়ক প্রকৌশলী বেলায়েত হোসেন আইনশৃঙ্খলা উন্নয়নের প্রশংসা করলেও দ্বীপের ট্রাফিক অব্যবস্থাপনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
তিনি বলেন, “সড়ক দুর্ঘটনায় অকাল মৃত্যু বাড়ছে, যা অত্যন্ত দুঃখজনক। দ্রুত ট্রাফিক ব্যবস্থার উন্নয়ন জরুরি।”ট্রাফিক অব্যবস্থাপনার কারনে একের পর এক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর বিষয়টি এখানকার সাধারণ মানুষকে ভাবিয়ে তুলেছে।
এ প্রসঙ্গে ওসি সফিকুল ইসলাম জানান, মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় তরুণদের মৃত্যুর বিষয়টি অত্যন্ত বেদনাদায়ক। বিআরটিএর কার্যক্রম না থাকা এবং পুলিশের জনবল সংকটের কারণে সড়ক পরিবহন শৃঙ্খলা নিশ্চিত করতে সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। তবে তিনি আশ্বাস দেন, এই চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে তারা চেষ্টা চালিয়ে যাবেন।