মুসলিম নামটি শুনলেই যার বুকে জ্বলে ঘৃণার আগুন,
সে কি মানুষ? নাকি নরপিশাচের ঔরসজাত সন্তান, দুর্বিনীত ডাইনীর জরায়ুতে অযাচিত ভ্রূণ ?
যারা শিশুর হাসি থামায় বোমার শব্দে,
যাদের শালীনতা বিক্রি হয় মৃতদেহের হাটে,
শায়লকের মত যারা মানবতা কেটে নেয় ছুরি দিয়ে—
তারা কী মানুষ? না, তারা ধংসের পুরোহিত, ইতিহাসের অভিশাপনামা, সভ্যতার অচ্ছূত কর্কট ব্যাধি।
রক্তে লেখা তাদের নাম—
শিশু হত্যার গন্ধে ভেসে চলে তাদের যুদ্ধ-ঘ্রাণ,
মায়ের স্তন্যদুগ্ধ রক্তে মিশে যায়,
ভাইয়ের কাঁধে বোনের লাশ—
এই কি সভ্যতা?
ওরা পিশাচ, যারা গজিয়ে ওঠে বারুদের বাগানে,
যাদের হাত নোংরা, মুখোশে ঢাকা পশুত্বের অহঙ্কার,
যারা পোকামাকড়ের মতো নিধন করে ধর্মের নামে—
তাদের উত্তপ্ত নিশ্বাস, সৃষ্টির নাভিশ্বাস।
প্রভু!
তুমি ফেরাও আমাদের নিঃশ্বাস,
ফেরাও শান্তি, ছায়া, স্বপ্নের অধিকার—
আর ওদের দাও চিরপ্রস্থান, দাও ধ্বংসের অমোঘ আহ্বান।
আমাদের আবাস হোক ভালোবাসার মুক্ত কানন,
যেখানে শুধু মানুষের জন্য আছে শক্ত মাটির মজবুত ভিত।
ইজরাঈল—এই আধুনিক লাশঘর,
যা রচনা করেছে ঘৃণার সীমানা দেয়াল দিয়ে—
তাকে গলিয়ে দাও, প্রভু,
মাটির নিচে পুঁতে দাও,
জন্ম দাও এক নতুন ভোর,
যেখানে আর নেই শিশুর কান্না,
কেবল আছে—আশার সুর, আস্থার স্নিগ্ধ স্থাবর আলো।
।